গণপিটুনিতে ইউপিডিএফের কর্মী নিহত

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার কালাপানি স্কুলপাড়া এলাকায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গণপিটুনির পর হ্লাচিংমং মারমা (২৮) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি স্থানীয় ইউপিডিএফের কর্মী বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তিনি বালু পয়েন্টে চাঁদাবাজি করতে এসে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় বালু পয়েন্টের শ্রমিক মো. আবুল হোসেন হ্লাচিংমং মারমাকে প্রধান আসামি করে রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

নিহত হ্লাচিংমং মারমার বাবার নাম থৈইলাপ্রু মারমা। তিনি রামগড়ের বৈদ্যপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। এদিকে ইউপিডিএফের কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি। 

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউপির কালাপানি স্কুলপাড়া এলাকায় বালুর পয়েন্টে ইউপিডিএফ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে আসেন সশস্ত্র কয়েকজন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বালুশ্রমিক মো. আবুল হোসেনকে ছুরিকাঘাত করলে তাঁর চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে ওই সশস্ত্র চাঁদাবাজদের ধাওয়া করলে একজন মোটরসাইকেলে ও অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় হ্লাচিংমং মারমা (২৮) গণপিটুনিতে আহত হন। 

মানিকছড়ি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে  হ্লাচিংমং মারমাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানকার চিকিৎসকেরা আহতের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠান।

 খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টায় আহত হ্লাচিংমং মারমা মারা যান। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাকিব উদ্দিন জানান, মানিকছড়ি থেকে একজনকে পুলিশ নিয়ে আসে। হাসপাতালে আসার আগে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনচারুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাঁদাবাজ আটক ও মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ আহত হ্লাচিংমং মারমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।