গণহত্যা বন্ধ না হলে বন্দীদের বিষয়ে আলোচনা নয় : হামাস

ইসরাইল গণহত্যা বন্ধ না হলে বন্দীদের বিষয়ে আলোচনা নয় বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

তিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করার যেকোনো উদ্যোগে প্রস্তুত রয়েছে হামাস। তবে সেজন্য আগে ইসরাইলকে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। এভাবে গণহত্যা চলতে থাকলে হামাস কোনো আলোচনাতেই বসবে না।

তিনি আরো বলেন, আমরা যুদ্ধবিরতির যেকোনো উদ্যোগকেই স্বাগত জানাই। কিন্তু সেজন্য ফিলিস্তিনিদের উপর এই আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। একইসাথে তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা গ্রহণ এবং ত্রাণ গ্রহণের জন্য ক্রসিংগুলোও খোলা রাখতে হবে।

এদিকে, ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির জন্য ফের যুদ্ধ বিরতির ইঙ্গিত দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের হারজোগ বন্দীদের মুক্তির জন্য দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ। তিনি বলেছেন, তার দেশ বন্দীদের মুক্তির জন্য আরেকটি মানবিক যুদ্ধ বিরতি ও অতিরিক্ত মানবিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে হামাস ও ইসরাইল অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। ইসরাইলি এক সৈনিকসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার পর উভয়পক্ষ অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় বলে ফিলিস্তিনি দলের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন।

হামাস মুখপাত্র ফাওজি বারহোম এক বার্তায় বলেন, ‘আগের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ফিরে যেতে মিসর ও জাতিসঙ্ঘের সহযোগিতায় আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি।’

উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহের মধ্যে এটি এ ধরণের দ্বিতীয় অস্ত্রবিরতি চুক্তি। গাজায় ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর এটি ইসরাইলি সৈন্যের প্রাণ হারানোর প্রথম ঘটনা।

এদিকে ইসরাইলি বিমান হামলায় তিন হামাস যোদ্ধা নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া গাজা-ইসরাইল সীমান্তে সংঘর্ষ চলাকালে এক ফিলিস্তিনি নিহত হন।

ইসরাইল ও হামাস ২০০৮ সাল থেকে তিন তিনবার যুদ্ধে জড়ায়।

সূত্র : আল জাজিরা