দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় গরুর মাংস খেতে না পারায় অভিমানে আলিফ উদ্দিন (২২) নামের এক যুবক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ছাতিয়ানগড় কৈ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
থানা-পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আলিফ উদ্দিন পাশের বীরগঞ্জ উপজেলার কল্যাণী দারিয়াপুর এলাকার আব্দুল হান্নানের বড় ছেলে। আলিফের বাবা ২০ বছর আগে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। ফলে তাঁরা নানা-নানীর কাছে থাকতেন। আলিফ এলাকায় ভ্যান চালাতেন। তবে গত ২ মাসে স্ত্রীসহ গার্মেন্টসে কাজ করার জন্য ঢাকায় যান। সম্প্রতি তিনি ভ্যান বিক্রি করার জন্য বাড়ি আসেন।
গত বৃহস্পতিবার আলিফ বাড়ি আসলে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন হয়। এদিন তাঁদের বাড়িতে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগির মাংস রান্না হয়। তবে আলিফ খেতে গিয়ে শুধু ব্রয়লার মুরগির মাংস পান। পরদিন শুক্রবার ইফতারের পরে নানীর কাছে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেতে চান আলিফ। তখন তাঁর নানী বলেন, ‘কেন কাইল খাসনি মাংস, তোর বোন-ভগ্নিপতিদের তো সব মাংস দিয়ে দিয়েছি।’
এই কথায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে আলিফ। রাগে-অভিমানে গলায় রশি পেঁচিয়ে খড়ির ঘরে ‘আত্মহত্যা’ করেন তিনি। পরে নানী দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। তখন স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খানসামা থানা-পুলিশ এসে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত তাওহীদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এটি আত্মহত্যা। তাই দাফনের জন্য পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।