জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছে। ১ এপ্রিল, সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) ৭ জন ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার এক দিন পরে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এই তথ্য জানিয়েছেন।
২ এপ্রিল, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দুজারিক ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে একজন ত্রাণকর্মীর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং কাজ করার জন্য কঠিন স্থানগুলোর মধ্যে একটি বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বিরুদ্ধে যেকোনো হামলা অগ্রহণযোগ্য। এছাড়া হাসপাতালে সামরিক অভিযানও মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পাওয়ার জন্য হাসপাতালগুলোকে সুরক্ষিত করতে হবে।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন দুজারিক। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় জাতিসংঘের মানবিক ও পুনর্নির্মাণ বিষয়ক ঊর্ধ্বতন সমন্বয়কারী সিগ্রিড কাগ, ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হওয়ার একদিন আগে ডব্লিউসিকে এর ত্রাণকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র নিহত ত্রাণকর্মীদের পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা জানিয়েছেন।
ত্রাণকর্মীদের হত্যার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বার্তা সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে দুজারিক বলেছেন, ‘বার্তাটি হল মানবিক সহায়তা কর্মীদের তাদের কাজ করতে দিন। তারা যেন নির্বিঘ্নে সহায়তা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
দুজারিক উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েল ডব্লিউসিকের কর্মীদের ওপর হামলার তদন্ত শুরু করেছে। জাতিসংঘ তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও যোগ করেছেন, এই অঞ্চলে জাতিসংঘের অনেক কর্মী নিহত হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকায় সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় ডব্লিউসিকে এর ৭ জন ত্রাণকর্মী নিহত হয়। নিহতরা অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ফিলিস্তিনের নাগরিক ছিলেন। এদের মধ্যে একজন মার্কিন-কানাডিয়ান দ্বৈত নাগরিক ছিলেন।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি