ফিলিস্তিনের গাজায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। গাজার উত্তরে জাবালিয়ায় বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে, ভুলবশত ইসরায়েলি বাহিনীর ছোঁড়া ট্যাংকের গোলার আঘাতেই ওই সেনারা নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার ভুলবশত ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের গুলিতে ৫ সেনা নিহত হয়েছে। ট্যাঙ্কের গোলায় আরও ৭ জন সৈন্য আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়ায় ইসরায়েলি সেনাদের দুঃখজনক এই ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ার’ ঘটেছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর তথ্যমতে, গাজায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারপর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ২৭৮ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, বুধবার জাবালিয়ায় যে পাঁচজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে, তারা সবাই প্যারাট্রুপারস ব্রিগেডের ২০২তম ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। নিজেদের সেনারাই কেন ট্যাঙ্কের গোলার মুখে পড়লো, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
আইডিএফকে উদ্ধৃত করে ইসরায়েলি গণমাধ্যম আরও জানায়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সৈন্যরা জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি ভবন দখল করেছিল । আর কয়েক মিটার দূরেও ওই এলাকায় অবস্থান করছিল ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক। ভবনটি লক্ষ্য করে দুটি শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াই করছে। এর আগেও জাবালিয়ায় যুদ্ধ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। পরবর্তীতে তাদের প্রত্যাহারের পর এই সোমবার ইসরায়েলি সেনারা নতুন করে জাবালিয়ায় ফিরে আসে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্য নিয়েই গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলা ও স্থলবাহিনীর ট্যাংকের গোলায় ও গাজায় এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং আহত হয়েছে আরও ৮০ হাজার। হতাহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।