গাজায় বিমান থেকে খাবার ফেলল যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তার অংশ হিসেবে বিমান থেকে খাবারের বান্ডিল ফেলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শনিবার ইউএস সি-১৩০ বিমান থেকে খাবার ফেলা হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)। মার্কিন সেনাদের সঙ্গে ত্রাণ সহায়তায় যুক্ত ছিল জর্ডান। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

সেন্টকম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন এয়ার ফোর্স এবং রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ার ফোর্সের সম্মিলিত অভিযানে ইউএস সি-১৩০ বিমান থেকে গাজা উপকূলে প্রস্তুতকৃত খাবার প্যাকেট ফেলা হয়েছে।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, তিনটি বিমান থেকে মোট ৬৬ বান্ডিল খাবার ফেলা হয়েছে। এসব বান্ডিলে মোট ৩৮,০০০ খাবার প্যাকেট ছিল। প্রস্তুত করা এসব খাবারের প্যাকেটে অবশ্য পানি বা চিকিৎসা সামগ্রী ছিল না।

ফিলিস্তিনের গাজায় গত শুক্রবার ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা মানুষের ভিড়ে নির্বিচারে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে ঘটনাস্থলে ১১৪ জনের মতো প্রাণ হারায় এবং আহত হয়েছে ৭৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।

এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিন্দা ও শোক জানানোর পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, অবরুদ্ধ গাজার মানুষের জন্য বিমান থেকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবরুদ্ধ গাজা ছিটমহলে আরও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে জোর দিয়েছেন।

শুক্রবার ওভাল অফিসে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছে, যাতে আরও ত্রাণ সহায়তার সুযোগ তৈরি হয়।

বাইডেন বলেন, আমরা জোর দিচ্ছি যাতে ইসরায়েল আরও বেশি ত্রাণের ট্রাক আরও সহজে গাজায় প্রবেশ করতে দেয়। কেননা, গাজায় নিরীহ মানুষের জীবন শেষসীমানায় ঝুলছে, শিশুদের জীবন চূড়ান্ত সীমারেখায় রয়েছে।

এর আগে জর্ডান, আরব আমিরাত ও ফ্রান্স গাজায় বিমান থেকে খাবার সহায়তা দিয়েছে। তবে শনিবারের অভিযান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রথম।

গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে গত পাঁচ মাসে নিহত ছাড়িয়েছে ৩০ হাজার, এছাড়া আহত হয়েছেন ৭১ হাজারের বেশি মানুষ।

উপর্যুপরি বোমা হামলায় ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে গাজার ৯০ ভাগের বেশি মানুষ। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্য-পানীয় ও ওষুধের অভাবে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সেখানে। জাতিসংঘও সতর্ক করে বলেছে, লাখ লাখ গাজাবাসী দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।