গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ফেলা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ১ মার্চ, শুক্রবার এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বাইডেন জানিয়েছেন, মার্কিন সামরিক বিমানের মাধ্যমে এই ত্রাণ সরবরাহ করা হবে।
এর আগে ২৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের পর এই ঘোষণা দিলেন বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে মার্কিন বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা হবে। তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। অবশ্য জর্ডান এবং ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ সহায়তা ফেলেছে।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গাজায় সরবরাহ করা সাহায্য যথেষ্ট নয়। আমাদের আরও কিছু করতে হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা করবে।’
তিনি উল্লেখ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় প্রচুর পরিমাণে সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি সামুদ্রিক করিডোরের সম্ভাবনা নিয়েও চিন্তাভাবনা হচ্ছে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা একটি টেকসই প্রচেষ্টা হয়ে ওঠবে। গাজায় প্রথমবার প্রস্তুত করা খাদ্য পাঠানো হবে। এসব খাদ্য প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এগুলোকে মিলিটারি এমআরই বলা হয়।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে খাদ্য সরবরাহ করা হবে। এই সপ্তাহের শেষে এই কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় অন্তত ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স