লোহিত সাগরে ডুবে যাওয়া ব্রিটিশ মালিকানাধীন জাহাজটি উদ্ধারে সুনাক সরকারকে সুযোগ দিতে চায় ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। তবে এর বিনিময়ে তারা গাজায় সাহায্যকারী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দাবি করেছে। শনিবার (২ মার্চ) একজন সিনিয়র হুতি নেতা এ কথা বলেছেন। খবর আরব নিউজ।
ইয়েমেনের হুতির সর্বোচ্চ বিপ্লবী কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আলী আল-হুতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন এমভি রুবিমার ডুবে যাওয়ার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং তার সরকারকে দায়ী করেছেন। তবে তিনি বলেন, গাজায় সাহায্যকারী ট্রাকগুলোকে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে সুনাকের জন্য রুবিমার পুনরুদ্ধারের সুযোগ রয়েছে।
লোহিত সাগরের বাবেল-মান্দেব প্রণালীতে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ইরান সমর্থিত হুতিরা বেলিজের পতাকাবাহী ও যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন এমভি রুবেমারে হামলা চালায়। এতে ব্রিটিশ মালিকানাধীন ও বেলিজের পতাকাবাহী জাহাজটি কাত হয়ে যায়। পরে ধীরে ধীরে এটিতে পানি ঢুকতে থাকে এবং শুক্রবার নাগাদ এটি পুরোপুরি ডুবে যায়।
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ১২ দিন ধরে জাহাজটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। শুক্রবার রাতে ঝড়ো আবহাওয়ায় এটি লোহিত সাগরে ডুবে যায়। জাহাজটিকে নিরাপদ কোনো বন্দরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল এর মালিক কর্তৃপক্ষ।
সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়, হামলার সময় এমভি রুবেমার ৪১ হাজার টন সার বহন করছিল। জাহাজটি ডুবে যাওয়ায় এসব সার লোহিত সাগরে ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশের আরও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতিরা লোহিত সাগর এবং এর আশেপাশের রুটের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বেশ কয়েকবার ব্যাপক হামলা চালালেও হুতিরা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বরং হুতিদের হামলার আশঙ্কায় এই রুটে জাহাজ চলাচলের পরিমাণ অনেকখানি কমে গেছে। ফলে বিশ্বজুড়ে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ উভয়ই অনেকখানি বেড়ে গেছে।