গাজায় ৪৯ দিনে নিহত ১৪ হাজার ৮৫৪ জন, নিখোঁজ ৭ হাজার

ফিলিস্তিনের গাজায় টানা ৪৯ দিন ইসরায়েলি হামলার পর শুক্রবার শুরু হয়েছে চারদিনের যুদ্ধবিরতি। গত সাত সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি বোমা-গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ হাজার ৮৫৪ জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৭ হাজার, যারা বিধ্বস্ত বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে আছেন বলেই আশঙ্কা। খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।
যুদ্ধবিরতির আগমুহূর্তে শুক্রবার ভোরে রাফাহ শহরে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল
কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগমুহূর্ত পর্যন্ত গাজা ও পশ্চিমতীরে বিমান হামলা চালিয়ে গেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৫৪ জন। আহত হয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি মানুষ।

গাজায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৭ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৭০০ জনের বেশি শিশু। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এসব শিশুরা বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে।

এছাড়া পশ্চিম তীরে গত সাত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ২২০ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও বৃহস্পতিবার রাতভর গাজার রাফাহ, বেইত লেহিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত আবু হোসেন স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে সেখানে ২৭ জন নিহত হয়েছে।

এছাড়া গাজার বেইত লাহিয়ায় একটি হাসপাতাল লক্ষ্য করে শুক্রবার ভোরে বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। হাসপাতালটিতে স্টাফ ও রোগীদের সঙ্গে কয়েক শত উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি ছিলেন।

ভোরে গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালেও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা বলেন, হাসপাতালটি লক্ষ্য করে বেশ কয়েকদফা বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে হাসপাতালটির বেশ কিছু অংশ গুঁড়িয়ে গেছে।