অবরুদ্ধ গাজায় তীব্র হামলা অব্যহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। তদের স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে হামলায় দিশেহারা উপত্যকাটির সাধারণ বেসামরিক মানুষ। আতঙ্কে সময় পার করছে সেখানের নারী এবং শিশুরা। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে উপত্যকার মধ্যঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত দ্ইু শতাধিক বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শনিবার গাজার অবরুদ্ধ অঞ্চলগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বিশেষ করে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এবং নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। এছাড়া দক্ষিণের শহরের পশ্চিম প্রান্তের বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে তারা। অন্যদিকে উত্তর গাজার অঞ্চলগুলোতেও একাধিক হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের এসব হামলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের আল-আকসা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এসব নিহতদের বেশির ভাই নারী এবং শিশু।
নিহতের পাশাপাশি বড় সংখ্যক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদেরকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং খাদ্যের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া জালানির অভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে গাজার প্রায় প্রতিটি হাসপাতাল।
গাজার মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উপত্যকার মধ্যঞ্চলে ইসরাইলের ব্যাপক হামলায় অন্তত ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মৃতদেহের মধ্যে বেশির ভাগই নারী এবং শিশুদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র।
আল জাজিরার আরেক খবরে বলা হয়েছে, জিম্মি উদ্ধারের নামে গাজাবাসীর ওপর এসব নৃশংস হত্যা চালিয়েছে ইসরাইল। যে চার জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের গত ৭ অক্টোবর একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে ধরে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল হামাসের যোদ্ধারা। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর জানিয়েছে, উদ্ধরকৃতরা হলেন- নোয়া আরগামানি (২৫), আলমোগ মের জান (২১), আন্দ্রে কোজলোভ (২৭) এবং সলমি ঝিভ (৪০)।