১০০ দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনা। গাজাকে তারা ধূলিস্যাৎ করে দিলেও নিজেরাও কম বিপদে পড়েনি। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের প্রচুর পরিমাণে সামরিক যান। সম্প্রতি জানা গেছে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের চার হাজার সেনা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লার বরাতে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু।
ওয়াল্লার প্রতিবেদনে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ হাজারে ঠেকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আহত সেনাদের সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে না। সাধারণ ইসরায়েলিসহ সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা এ সংখ্যা প্রকাশ করা থেকে বিরত রয়েছে।
ওয়াল্লার খবরে আরও বলা হয়, এ পর্যন্ত ক্লাসিফিকেশন-৩ অনুসারে চার হাজার সেনাকে প্রতিবন্ধী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চিকিৎসাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। যুদ্ধে অংশ নিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করায় তারা এ সুবিধা পাচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরনোথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পাঁচ হাজারের বেশি ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার সেনা হাত-পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। এমনকি অনেকের হাত-পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। সে সময়ই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দুই হাজারের বেশি সেনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু ঘোষণা করেছিল।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস অর্গানাইজেশনের প্রতিবন্ধী বিভাগের চেয়ারম্যান ইদান কালিমান বলেছেন, আমি ৩০ বছর ধরে এ সংস্থায় রয়েছি। কিন্তু কখনো এত বেশি আহত ব্যক্তি আমাদের সামনে পাইনি। এখন প্রতিনিয়ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হওয়া ব্যক্তি, অন্ধত্ব বা পক্ষাঘাতে আহতরা চিকিৎসা নিতে আসছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান ও ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল লিমোর লুরিয়া বলেন, আমরা আগেও আহত সেনাদের চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্তু এখনকার মতো পরিস্থিতি আগে কখনো দেখিনি।