গাজার শিশুদের রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি এরদোয়ানের আহ্বান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, গাজার শিশুদের রক্ষা করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ৪ জুন, মঙ্গলবার আগ্রাসনের শিকার নিরপরাধ শিশুদের জন্য আন্তর্জাতিক একটি দিবস উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান।

এরদোয়ান এক্সে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্রকে গাজার শিশুদের পাশাপাশি মানবতার সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমি জাতিসংঘকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, কয়েক মাস ধরে গাজায় নিরপরাধ শিশুদের গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে। বিশ্ব যে পাঁচটি দেশের চেয়ে বড় তা বোঝানোর জন্য এই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আগ্রাসনের শিকার নিরপরাধ শিশু আন্তর্জাতিক দিবসে, আমি দুঃখের সঙ্গে গাজায় নিহত ১৫ হাজারের বেশি শিশুকে স্মরণ করছি। ৭ অক্টোবর থেকে এই শিশুদের বর্বরভাবে হত্যা করা হয়েছে। গাজায় শুধু শিশুরাই খুন হচ্ছে না, মানবতাকেও হত্যা করা হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্ব এদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

এরদোয়ান জানিয়েছেন, সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষ বিশেষ করে গাজার প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবে তুরস্ক।

তিনি বলেছেন, ‘যেখানেই শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, যেখানেই তারা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছে, সেখানেই আমরা আমাদের হাত বাড়িয়ে দেব। আমরা এই বিশ্বাস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করব যে আরও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব।’

এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় ৮ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে ৩৬ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ৮৩ হাজার আহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই শিশু ছিল।

উল্লেখ্য, ৪ জুন আগ্রাসনের শিকার নিরপরাধ শিশু আন্তর্জাতিক দিবস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৮২ সালে আগ্রাসনের শিকার শিশুদের প্রতি সচেতনতা বাড়াতে এবং সারা বিশ্বে শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের শিকার শিশুদের জন্য এ ধরনের একটি দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি বছর ৪ জুন বিশ্বব্যাপী এই দিবস পালন করা হয়।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি