
গাজার অন্যতম প্রধান হাসপাতাল আল-আহলি আরব ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে দুটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ বিধ্বস্ত হয়েছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সৌদি আরব আল-আহলি আরব ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে চালানো এই হামলাকে সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই হামলা সকল আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির নির্লজ্জ লঙ্ঘন।
সৌদি আরব বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বারবার চালানো বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে দেশটি সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলের অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি লঙ্ঘনের কারণে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এদিকে, রবিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস জানিয়েছেন, হাসপাতালে এই বিমান হামলার কারণে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক হাসপাতালের পরিচালকের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানান, হামলায় জরুরি বিভাগ, ল্যাবরেটরি, জরুরি বিভাগের এক্স-রে মেশিন এবং ফার্মেসি ধ্বংস হয়ে গেছে।
তেদ্রোস আরও বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫০ জন রোগীকে অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। তবে গুরুতর অসুস্থ ৪০ জন রোগীকে সরানো সম্ভব হয়নি।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী হাসপাতালগুলো সুরক্ষিত। স্বাস্থ্যসেবা খাতের ওপর হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, আল-আহলি হাসপাতালটি জেরুজালেমের এপিস্কোপাল ডায়োসিস দ্বারা পরিচালিত হয়। তারাও এই হামলার নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য বছরের সবচেয়ে পবিত্র সপ্তাহ ‘হোলি উইক’ শুরু হয়েছে