গাজায় ২ দিনের হামলায় মৃত ১৯৩

অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভেস্তে গেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনায় অংশ নেওয়া মোসাদ সদস্যদের দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এদিকে শুক্রবার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দিনেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তারা জানিয়েছে গাজার ৪০০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলায় ২ দিনে ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর আলজাজিরা, বিবিসির।

দোহায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশনায়, মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নেয়া, দোহায় অবস্থানরত তার দলকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।’

এতে আরও বলা হয়, হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে চলেনি। ওই চুক্তির মধ্যে ছিল তারা সব নারী ও শিশু জিম্মিদের ছেড়ে দেবে। এ সংক্রান্ত একটি তালিকা হামাসের কাছে দেওয়া হয়েছিল এবং এটি তারা অনুমোদনও দিয়েছিল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মোসাদ প্রধান সিআইএ প্রধান, মিসরের গোয়েন্দামন্ত্রী এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। যাদের অসাধারণ প্রচেষ্টায় গাজা থেকে ৮৪ ইসরাইলি নারী ও শিশু এবং ২৪ জন বিদেশি মুক্তি পেয়েছেন।’

এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলমান থাকলেও শুক্রবার থেকেই গাজায় আবারও নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। তাদের এ হামলায় ২ দিনে মৃতের সংখ্যা ১৯৩ জনে উন্নীত হয়েছে। শনিবার এক ব্রিফিংয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ১৫ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর নতুন করে আরও ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় আহত হয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। আহত ও নিহতদের ৭০ শতাংশই হলো নারী ও শিশু।

ইসরাইলিদের হামলায় হাসপাতালগুলোর অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন সাধারণ মানুষকে মাটিতে ও বাইরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।