গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলা 

রমজান মাস আসলেই যেন বেপরোয়া হয়ে পরে দখলাদার ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহিংসতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এবার ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে হামলার পর লেবাননে হামলা চালাচ্ছে দেশটি। এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসরায়েলি বাহিনী ‘দ্যা স্ট্রং হ্যান্ড’ নামক অভিযানের মাধ্যমে গাজায় বিমান হামলা চালায়।এমনটিই জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের অধিকৃত জেরুজালেমের পবিত্র আল আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর দুই দফায় হামলা চলানোর জেরে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর জেরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। আর গাজায় বিমান হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা এখন ‘লেবাননে হামলা’ করছে।

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী শুক্রবার ভোর ৪টা ৭ মিনিটে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করে। সেখানে তারা জানায়, ইসরায়েল ‘বর্তমানে লেবাননে হামলা চালাচ্ছে’। এছাড়া লেবাননের একটি টিভি স্টেশন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী টায়রে একটি শরণার্থী শিবিরের কাছে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে।

এর আগে ইসরায়েলের কট্টরপন্থি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি ভিডিও বিবৃতি প্রকাশ করার পর কয়েক ঘণ্টা পর গাজায় ইসরায়েলি হামলার ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ভিডিও বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, তার দেশের শত্রুদের ‘যেকোনও আগ্রাসনের মূল্য চোকাতে হবে’।

অবশ্য লেবানন বা গাজায় ইসরায়েলি হামলার পরও সেখানে নিহত বা আহত হওয়ার কোনও তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এর আগে ফিলিস্তিনের অধিকৃত জেরুজালেমের পবিত্র আল আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর দুই দফায় হামলা চালায় ইসরায়েলি পুলিশ। পবিত্র রমজান মাস চলার মধ্যেই টানা দুই রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এছাড়া মুসলিমদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয়স্থান আল আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনায় ফিলিস্তিনের সমগ্র পশ্চিমতীরজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ বহু ফিলিস্তিনি আহত হন। আর এর জেরেই গাজা ও লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে রকেট হামলার ঘটে।