গাজা ফিলিস্তিনিদের জাতীয় সংগ্রামের প্রতীক: খালেদ মিশাল

হামাসের শীর্ষ নেতা খালেদ মিশাল বলেছেন, গাজা উপত্যকা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও প্রত্যাবর্তনের অধিকার আদায়ের জাতীয় সংগ্রামের প্রতীক। ইসরায়েলি দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনি ভূমি মুক্ত করার জন্য তিনি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি গাজা পুনর্গঠনে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত এবং মিশরে নির্বাসিত ফিলিস্তিনিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় মিশাল এসব কথা বলেন।

অসংখ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীরা মুক্তির স্বাদ পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আপনারা স্বাধীনতার সুবাস গ্রহণ করেছেন, অসংখ্য শহীদের আত্মত্যাগের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে। তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন আপনাদের মুক্তির জন্য।”

শহীদ প্রতিরোধ নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মিশাল বলেন, তাদের রক্ত ফিলিস্তিনের মুক্তির পথ আলোকিত করবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ঘটনাকে ‘একটি ভূমিকম্প’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আবারও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

মিশাল বলেন, গাজা ফিলিস্তিনিদের জাতীয় পরিচয়ের প্রতিচ্ছবি। এটি তাদের ভূমি, আত্মপরিচয়, মাতৃভূমিতে ফেরার অধিকার, জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদের প্রতীক। গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাওয়াকে তিনি ‘মহান প্রত্যাবর্তনের’ পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন।

গাজার পুনর্গঠন ও ত্রাণ সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন চেয়ে মিশাল বলেন, “গাজা আমাদের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। এটি এখনো দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে, পতাকা উঁচু করে রেখেছে এবং কখনো পরাজিত হয়নি। আমাদের উচিত গাজাকে আরও শক্তিশালী করা ও পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে আগের চেয়ে আরও শক্ত অবস্থানে ফিরিয়ে আনা।”

তিনি আরও বলেন, দখলকৃত পশ্চিম তীর, বিশেষ করে জেরুজালেম এখনও একটি যুদ্ধক্ষেত্র। কারণ ইসরায়েলিরা এখনও জেনিন, নাবলুস ও তুলকারমে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। হামাস পশ্চিম তীরের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *