গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের সামনে অনশনে মার্কিন বিমান বাহিনীর সদস্য

মার্কিন বিমান বাহিনীর সদস্য ল্যারি হেবার্ট, গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হোয়াইট হাউসের সামনে ৭ দিন ধরে অনশন করছেন। তিনি জানিয়েছেন, গাজাবাসী অনাহারে আছে, সেখানে বোমা হামলা হচ্ছে এবং তাদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এসব অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

২৬ বছরের হেবার্ট গাজার বাসিন্দাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া মার্কিন সেনা অ্যারন বুশনেলও তাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।  

২৫ বছর বয়সী বুশনেল গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ২৫ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন। তিনি মার্কিন বিমানবাহিনীর একজন পাইলট ছিলেন।

ল্যারি হেবার্ট ‘ভেটেরান্স ফর পিস’ এর একজন সদস্য। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নিতে এবং ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চাপ দিতে মার্কিন কংগ্রেসনাল অফিসে যাওয়ার জন্য তার কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়েছেন।   

তিনি তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘গাজার মানুষের দুঃখকষ্ট আমি  অনুভব করতে পারছি। এর মধ্যে কোনো মানবতা নেই, এর কোনো যুক্তি নেই। আমাদের সরকারের সিদ্ধান্তে আমাদের সামরিক বাহিনী সরাসরি ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করার জন্য দায়ী। এটি ব্যক্তিগতভাবে আমার এবং আরও অনেক লোকের ওপর সত্যিই গুরুতর প্রভাব ফেলেছে।’ 

এদিকে মার্কিন বিমান বাহিনীর এই সদস্য বলেছেন, ‘আমি অনশন চালিয়ে যাবো। আমি শুধু গাজার মধ্যে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন চাই। সেটা যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে হোক।’ 

হেবার্ট ৩১ মার্চ থেকে হোয়াইট হাউসের সামনে লাফায়েট পার্কের আশেপাশে অনশন করছেন। তবে ৮ এপ্রিল, সোমবার মার্কিন আইন প্রণেতারা যখন ছুটি কাটিয়ে ওয়াশিংটনে ফিরে আসবেন তখন তিনি কংগ্রেসের বাইরে অনশন চালিয়ে যাবেন। তিনি গাজাকে ঘিরে ইসরায়েলি অবরোধের অবসান এবং শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে  দখলদারিত্বের অবসান হবে বলে আশা করেন।  

উল্লেখ্য, ল্যারি হেবার্ট মার্কিন বিমান বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি স্পেনে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি নেভাল স্টেশন রোটাতে কর্মরত আছেন।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি