গুজরাট দাঙ্গায় খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত ২৬ জনের মুক্তি

ভারতের গুজরাটের ভয়াবহ দাঙ্গায় খুন, ধর্ষণে অভিযুক্ত ২৬ জনকে মুক্তি দিয়েছে ভারতের আদালত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ। গুজরাটের পঞ্চমল জেলার একটি আদালত তাদের মুক্তি দিয়েছে।

২০ বছর আগে সংগঠিত গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে হওয়া বহু মামলার এখনও নিম্ন আদালতেই নিষ্পত্তি হয়নি। পঞ্চমল জেলার ওই মামলাটি তার একটি।

গত বছর ১৫ অগাস্ট গুজরাট সরকার খুন ধর্ষণে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১জন আসামিকে মুক্তি দেয়। সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আক্রান্ত বিলকিস বানু ও বাকিদের মামলার শুনানি শুরু হয়েছে গত সপ্তাহে। 

গুজরাট সরকারের সেই আদেশের পর জানা যায়, ২০০২ এর দাঙ্গার অসংখ্য মামলার এখনও নিম্ন আদালতেই নিষ্পত্তি হয়নি। অভিযুক্তদের অনেকের জেলে বিচারাধীন বন্দির জীবন কাটছে আবার জামিনেও মুক্ত বহু আসামি।

আদালতে নির্দোষ ঘোষিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু এলাকায় দলবল নিয়ে হামলা, বাড়িঘরে আগুন দেওয়া, একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ এবং বেশ কয়েকজনকে পুড়িয়ে মারার মতো ভয়াবহ অভিযোগে মামলা দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু বিচারকের বক্তব্য, পুলিশের সাক্ষিদের বয়ানে বিস্তর গড়মিল আছে। তদন্তেও অনেক ফাঁকফোকড় চিহ্নিত করেন বিচারক। প্রমাণের অভাবে তিনি অভিযুক্তদের মামলা থেকে খালাস করে দেন।

ঘটনার সময় আক্রান্ত এলাকাটি ছিল গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগরের অন্তর্গত। পুলিশ গান্ধীনগরের কালোলের ওই ঘটনায় ৩৯জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল। ইতোমধ্যে ১৩জন অভিযুক্ত মারা গেছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে পুলিশ ১৯০জন সাক্ষির বয়ান এবং ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত ৩৩৪টি বস্তু প্রমাণ হিসাবে দাখিল করে। বিচারক সেগুলোকে গুরুতর অভিযোগ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট মনে করেননি।