চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরও দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন একই বিভাগের এক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিভাগীয় সভাপতি বরাবর ওই অভিযোগ দেয়া হয়।
এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের মাস্টার্সের এক ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনভর ওই শিক্ষকের পদচ্যুত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। মাস্টার্সের লিখিত পরীক্ষার সময় অসদুপায় অবলম্বন করার কারণে একজন স্যার কর্তৃক আমাকে বরখাস্ত করা হয়। ওই কারণ প্রদর্শনপূর্বক পরীক্ষা কমিটির সভাপতি স্যার আমাকে তার রুমে একা ডেকে পাঠান। রুমে প্রবেশের পর স্যার রুমে বসার নির্দেশ দেন। বসার পর হঠাৎ করে পেছন দিকে স্যার আমার কাছে চলে আসেন এবং আমি উনার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে চমকে উঠি।
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, আমি চেয়ার থেকে ভয়ে উঠে চিৎকার করে কান্নাকাটি করে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি রুমের দরজা লক করা। তারপর তিনি আমাকে অনুরোধ করেন এভাবে কান্নাকাটিরত অবস্থায় বাইরে না যেতে। তারপর তিনি আমাকে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখেন কান্না থামানোর জন্য। পরে আমি কোনোনরকম স্বাভাবিক হয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসি।
অভিযোগের বিষয়টির কথা স্বীকার করে বিভাগীয় সভাপতি জানান, এরকম একটি অভিযোগপত্র এসেছে। বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।