চমেকে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা 

পয়গাম ডেস্ক :

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার সাকিব হোসেন ও জাহিদ হোসেন। দুজনই এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।

টিউশনি থেকে আসছি বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে আঘাত করে ইমতিয়াজ আলম। তারপর আমাকে বেঁধে ফেলে এবং সে অবস্থায় মুখে পানি ঢালতে থাকে। একপর্যায়ে নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে পানি ঢালা বন্ধ করে।

এরপর তালিকা ধরে কয়েকজনের নাম বের করে বলে, আমরা কোথাও (রেটিনা কোচিং সেন্টার) ক্লাস নিই কি না? আমি আমারটা উত্তর দিলাম, না। অন্যদেরটা জানি না। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় স্টাম্প, প্লাস্টিকের পাইপ, কাঠের তক্তা এসব দিয়ে মারপিট। একপর্যায়ে মাটিতে শুয়ে পড়লে দুই মিনিট চেয়ারে বসিয়ে পানি খাওয়ানো হয়। এরপর আবার জয়েন্টগুলোতে স্টাম্প দিয়ে আঘাত করতে থাকে।’

নির্যাতনের এই বর্ণনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাকিব হোসেন। গত বুধবার রাতে কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে সাকিবের সঙ্গে আরও তিন ছাত্রকে নির্যাতন করেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।

সাকিব হোসেন ও নির্যাতনের শিকার জাহিদ হোসেন আজ সোমবার লিখিতভাবে কলেজ অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার বরাবর অভিযোগ করেছেন।

‌‌দুই শিক্ষার্থীই জানিয়েছেন, ‘বড় ভাইয়া’ ডাকছে বলে তাঁদের ছাত্রাবাসের তিনতলার ১৭/সি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পৃথক হাতে লেখা ছয় পৃষ্ঠা করে ১২ পৃষ্ঠার অভিযোগে নির্যাতনের কারণ হিসেবে একই শ্রেণির সহপাঠীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবির পরিচালিত রেটিনা কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেওয়ার বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। ওই কোচিংয়ে ক্লাস নেন না বলার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। ২০ থেকে ২২ জন তাঁদের মারধরে অংশ নেন।