চিকিৎসা–বর্জ্য ফের বাজারে বিক্রি হচ্ছে: টিআইবি

আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চিকিৎসা–বর্জ্য তৈরি হয় বাংলাদেশে। অপরিশোধিত ও ক্ষতিকর এই চিকিৎসা–বর্জ্য বাজারে বিক্রি করছে একটি চক্র। ক্ষতিকর এই বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা দুর্বল। দেশে চিকিৎসা–বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অরাজকতা চলছে। চিকিৎসা–বর্জ্য নিয়ে এক গবেষণায় এই দুর্নীতি-অনিয়ম পেয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ মঙ্গলবার সকালে অনলাইনে অনুষ্ঠিত একটি আয়োজনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘চিকিৎসা–বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণার পর এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। টিআইবি বলেছে, হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ ও ঠিকাদারদের একটি চক্র অপরিশোধিত চিকিৎসা–বর্জ্য আবার বাজারে ফিরিয়ে আনছে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি।

টিআইবি দুই শতাধিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে গবেষণাটি করেছে। এ ছাড়া তারা চিকিৎসা–বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুক্ত বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহের কাজটি হয়েছে ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা–বর্জ্য রাখার জন্য পাত্র নেই। ৮৩ শতাংশ হাসপাতালে বর্জ্য পরিশোধনের কোনো ব্যবস্থা নেই।

টিআইবি তাদের গবেষণায় দেখেছে, চিকিৎসা–বর্জ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন, পরিশোধন—সব ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনবলের সংকট রয়েছে। যে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেই নিয়োগেও আর্থিক দুর্নীতি ছিল। দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী যুক্ত।

অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, চিকিৎসা–বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অরাজক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আইনে দুর্বলতা আছে। চিকিৎসা–বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি হয়নি। এই কাজে সমন্বয়ের ঘাটতি আছে।