চিড়িয়াখানায় কোনো  প্রাণী উত্ত্যক্ত করলে জরিমানা হবে

চিড়িয়াখানায় কোনো দর্শনার্থী যদি প্রাণীদের উত্ত্যক্ত করেন, তাহলে তাঁর জরিমানা হবে। এ ধরনের আচরণের জন্য দুই হাজার টাকা প্রশাসনিক ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিধান রেখে ‘চিড়িয়াখানা বিল ২০২৩’ জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। এতে চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীকে জখম করলে বা অনুমতি ছাড়া খাবার দিলে দুই মাসের জেল অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বিলটি সংসদে তোলেন। পরে তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটি পাস হলে দেশের সরকারি সব চিড়িয়াখানা এই আইনের অধীনে পরিচালিত হবে। এখন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা উপদেষ্টা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

বিলে বলা হয়েছে, চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীর বয়সজনিত শারীরিক অক্ষমতা বা সংক্রামক রোগ থেকে অন্য কোনো প্রাণীর জীবন রক্ষার্থে বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রাণীর অসহনীয় কষ্ট কমাতে ব্যথাহীন মৃত্যু ঘটানো যাবে।

বিলে বলা হয়েছে, চিড়িয়াখানায় কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই একই প্রজাতির একই লিঙ্গের একটি প্রাণী রাখা যাবে না। ভেটেরিনারি কর্মকর্তার নির্দেশনা ছাড়া প্রকৃতিগত কারণে দলবদ্ধভাবে অবস্থানকারী প্রাণীদের মধ্য থেকে কোনো প্রাণীকে আলাদা বা এককভাবে রাখা যাবে না। প্রাণীর প্রকৃতি বিবেচনা করে ন্যূনতম প্রাকৃতিক পরিবেশ বা সুবিধাসম্পন্ন খাঁচায় আবদ্ধ বা মুক্ত রাখতে হবে। প্রাণীর প্রকৃতিগত আচরণ, সংশ্লিষ্ট প্রাণীর লালন-পালনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে প্রাণীর খাঁচার অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। কোনো বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য সরকার এক বা একাধিক চিড়িয়াখানা নির্দিষ্ট করতে পারবে।

বিলটিতে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো চিড়িয়াখানায় বিদেশি প্রজাতির বন্য প্রাণী কেনা, বিনিময়, উপহার হিসেবে বা অন্য কোনোভাবে সংগ্রহ করা যাবে না। চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীকে লোকালয়ে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।