অর্ধযুগ পরে ইরানের সঙ্গে আবারও সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাঁটছে সৌদি আরব। চীনের মধ্যস্থতায় উভয় দেশ নিজেদের মধ্যকার দূরত্ব ঘুচাচ্ছে। তবে সৌদি আরব বলছে, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের অর্থ এই নয় যে, সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। খবর আনাদোলু।
আশর্ক আল-আওসাত পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, চুক্তিটি আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সাধারণ আকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত। তার দেশ দুই মাসের মধ্যে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক সফর করা যেতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, সব সমস্যাই সমাধান হয়ে গেছে।
এ সময় সৌদি-ইরান সম্পর্কোন্নয়নে চীনের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরিতে বেইজিং ও তেহরানের সঙ্গে সৌদি আরবের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে।
ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক কখনোই খুব বেশি উষ্ণ ছিল না। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দুই রাষ্ট্র হিসেব স্বাভাবিক একটি সম্পর্কই তাদের মধ্যে বজায় ছিল। তবে বেশকিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। বিশেষ করে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরবে বিশিষ্ট শিয়া ধর্মগুরু শেখ নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং এ ঘটনায় তেহরানের সৌদি কূটনৈতিক মিশনে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলার পর পারস্য উপসাগরীয় দুই প্রতিবেশী কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।