ছোলা, ডাল, খেজুর আমদানি কমেছে,রমজানে অস্থিরতার শঙ্কা

দেশে রমজানে চাহিদা বাড়ে ছোলা, ডাল, খেজুর, আপেলসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদির।
অন্য সময় এসব ভোগ্যপণ্য লোকজন অনিয়মিতভাবে খেলেও রমজানে তা পরণিত হয়
নিয়মিত ভোগ্যপণ্যে। তাই এসব ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। সেই
মোতাবেক রমজানকে কেন্দ্র করে ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়ান ব্যবসায়ীরা। এবার
হয়েছে ঠিক তার উল্টো। ডলার সংকটসহ নানা কারণে আমদানি না বেড়ে বরং কমেছে
২০ থেকে ৪০ শতাংশ ।

চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে আগের অর্থ বছরের তুলনায় ছোলা আমদানি
কম হয়েছে এক লাখ ৫৫  হাজার ৯৩৬টন, খেজুর আমদানি কম হয়েছে ১০ হাজার ৭০০টন,
ডাল আমদানি কম হয়েছে ২০ হাজার টন, আপেল আমদানি কমেছে  ৬৬ হাজার ২১৯টন এবং
অরেঞ্জ  আমদানি কমেছে ৪ হাজার ১৪৮টন ।

এই সুযোগে পণ্যের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ এমন মন্তব্য খাতুনগঞ্জের
পাইকার ব্যবসায়ীদের।

প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে না পারায় সময়মতো আসছে না ভোগ্যপণ্য। ডলারের
বাড়তি দামের কারণেও বাড়ছে আমদানি খরচ জানালেন চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌহিদুল আলম। 
  রমজানকে সামনে রেখে অস্থির হয়ে ওঠেছে এসব ভোগ্যপণ্যের বাজার । সময়মত এলসি খুলতে
না পারায় এমন পরিস্থিতি তৈরী হলেও রমজানে সংকট হবে না মনে করেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। তবে আমদানি কম হলেও পণ্যের সরবরাহ লাইন ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে রমজানে সংকট হবে না মনে করেন  তিনি।

এদিকে ভোগ্যপণ্য কম আমদানি দেশের জন্য ক্ষতি নয়, বরং লাভজনক মনে করেন চট্টগ্রাম বন্দর উদ্ভিদ সংঘ নিরোধের উপ পরিচালক নাছির উদ্দিন।

সব পর্যায়ের আমদানিকারকদের জন্য সুযোগ তৈরী না হলে দেশের বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে যাবার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য আরো বাড়ার আশংকা পাইকারি ও খুচরা
ব্যবসায়ীদের।