জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি চায়: প্রধানমন্ত্রী   

পয়গাম ডেস্ক: আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কখন বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পেল আর কখন দেশের মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির কবলে পড়ে মানুষের জীবন মান সম্পূর্ণ ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছিল, সেটা সকলকে স্মরণ করে সেই তুলনা করেই জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কী চান।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শুনতে হয় আওয়ামী লীগ সরকার দেশটা ধ্বংস করে দিয়েছে। এর আগে ১০০টা সেতু আমরা একই সাথে উদ্বোধন করলাম আর আজকে আমরা ১০০টা মহাসড়ক নির্মাণ বা উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করলাম। এরপরে যারা বলে আওয়ামী লীগ সরকারে এসে দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে, কিছুই নাকি করে নাই, কাজেই দেশের মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করবে কি না সেটাই আমার প্রশ্ন।’

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে পৌনে ১১টার পর দেশের ১০০ মহাসড়ক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। ই-গভর্ন্যান্স, ই-এডুকেশন অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এভাবেই আমরা পরিকল্পনা করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশে আর কোনো রাস্তা বাকি নেই। এই ১০০ সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণ এবং আগে যেগুলো করা হয়েছিল সেগুলো উন্নতমানের করা হলো। কাজেই এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদে সড়ক যাতায়াতের একটা বড় সুবিধা হবে। যাতে অর্থনৈতিকভাবে সকল অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত লাভবান হবে।’

আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে যোগাযোগের ক্ষেত্রটাকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু সড়ক যোগাযোগ নয় সড়ক পথ, রেলপথ, নদীপথ এবং বিমান প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই আমরা উন্নয়ন করে যাচ্ছি। জাতীয় সড়ক মহাসড়কের বাইরেও উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যন্ত রাস্তা ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে পায়ে চলার পথগুলোও আমরা উন্নত করে দিচ্ছি। সমগ্র গ্রাম পর্যায়েও যোগাযোগের একটা নেটওয়ার্ক আমরা গড়ে তুলেছি। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি যেমন হয়েছে তেমনি চলাচলের সুযোগটাও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে চাইলে সর্বোচ্চ ৬/৭ ঘণ্টার মধ্যে মানুষ রাজধানীতে আসতে পারছে।’