জনদুর্ভোগের মধ্যেও সরকার উৎসব শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের যেহেতু জনগণের প্রতি দায়-দায়িত্ব নেই, সে কারণে তারা এখন উৎসব শুরু  করেছে। আপনি যেটা বলেছেন আজকে যে তারা আবদুল হামিদ সাহেবের (রাষ্ট্রপতি) এলাকাতে উৎসব অনুষ্ঠান করছে।’

বিএনপির এই নেতা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, তারা তো এটা স্বীকারই করতে চায় না, দেশে একটা অর্থনৈতিক সংকট চলছে। দেশে মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করেছে। দেশের সাধারণ মানুষ আজকে চাল কিনতে পারছে না।

কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রির সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে ফখরুল বলেন, ‘আমি আবার শুনেছি, যেটা ভয়ংকর মারাত্মক যে ওএমএসের কার্যক্রম তারা বন্ধ করে দেবে এবং কার্ডের মাধ্যমে তারা আবার চাল বিক্রি করবে বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করবে। কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপণ্য বিক্রিতে আরেকটা দুর্নীতির জায়গা খুলবে’।

মির্জা ফখরুল আরও অভিযোগ করেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ চুক্তি করেছে ভারতের আদানি কোম্পানির সঙ্গে। সেই বিদ্যুৎ চুক্তি সবাই বলছেন, দেশি-বিদেশি সবাই যে এটা অপ্রয়োজনীয় চুক্তি, অসম চুক্তি। যে কারণে বাংলাদেশকে শুধু পয়সাই দিতে হবে, বাংলাদেশ বেশি লাভ পাবে না। এ ধরনের চুক্তিগুলোর মধ্য দিয়ে, এ ধরনের প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে তারা সম্পদ লুট করেছে, বিদেশে সম্পদ গড়ছে।’

ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকার একের পর এক বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে টাকা ব্যয় করে অর্থ লুট করছে, পাচার করছে এবং বিদেশে সম্পদ গড়ে তুলছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। এ অবস্থা উত্তরণে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলনে আমাদের ১৭ জন নেতা-কর্মীকে রাজপথে হত্যা করেছে। সে কারণে বলছি আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন করেই এই গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’

পুষ্পমাল্য অর্পণের সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুনায়েম মুন্না ও নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ছিলেন।

সেখানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মামুন হাসানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি টুকু-মুন্নার নেতৃত্বে ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি। গত বছরের মে মাসে টুকুকে সভাপতি ও মুন্নাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহসভাপতি ২৫ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১৫ জন, সহসাধারণ সম্পাদক ২৫ জন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ২৫ জন, সদস্য ৭৫ জন ছাড়াও  সম্পাদকীয় পদে নেতারা রয়েছেন।