জার্মানি এখনও ‘অধিকৃত’ রয়ে গেছে:পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তার বাহিনী প্রত্যাহার করে দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়েছে এবং তাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তা হয়নি। জার্মানির মতো বিভিন্ন দেশের ওপর এখনও তারা তাদের দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বক্তব্য থেকেই এমনই আঁচ করা যায়। খবর রয়টার্স ।

রাশিয়ার একটি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, উত্তর সাগরের পাইপলাইনে বিস্ফোরণের বিষয়ে জার্মানির প্রতিক্রিয়া থেকে বুঝা যায় যে, দেশটির ওপর এখনও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব রয়ে গেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে আত্মসমর্পণের কয়েক দশক পরেও তারা স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার পায়নি।

ইউরোপের দেশগুলোর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় নেতারা যেন তাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার বোধ হারানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

গত বছর রাশিয়ার নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটায় রাশিয়া বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে। এ বিষয়ে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলো সতর্কতার সঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, এটি একটি ইচ্ছাকৃত হামলা। তবে এর জন্য তারা কাকে দায়ী বলে মনে করে তা বলতে অস্বীকৃতি জানায়। জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ইউক্রেনকে দোষারোপ করার জন্য এটি একটি ভুয়া হামলাও হতে পারে।

নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ করা হতো। কিন্তু সেই পাইপলাইনের বিস্ফোরণ সম্পর্কে জার্মানিরই এমন জবাব রুশ কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয়নি। রাষ্ট্র পরিচালিত রাশিয়া-১ টিভি চ্যানেলকে পুতিন বলেন, এসব বিস্ফোরণ সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকেই এ হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনপন্থী কোনো গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে- জার্মানির এ ধরনের জবাব তিনি পুরোপুরি উড়িয়ে দেন।

আগে থেকেই ইউরোপ রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর বেশ নির্ভরশীল ছিল। তবে ইউক্রেনে হামলার পর চাপের মুখে ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে শুরু করে।