জিম্মিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার এটাই শেষ সুযোগ: হামাস

জিম্মি চুক্তি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তির ব্যাপারে ইসরায়েলকে উদ্দেশ্য করে হামাস এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, জিম্মিদের মুক্ত করতে এটিই ইসরায়েলের জন্য শেষ সুযোগ। এরপর তাদেরকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে রাফাহ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হামাসের এক শীর্ষ নেতা এ মন্তব্য করেন। খবর টাইমস অব ইসরায়েল।

হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলি বন্দীদের জীবিত উদ্ধার করার জন্য এটিই শেষ সুযোগ হতে পারে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাফাহ আক্রমণ করার সিদ্ধান্তে মনে হচ্ছে, তিনি এবং তার সেনাবাহিনী বন্দীদের (জিম্মি) মেরে ফেলারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলি বন্দীদের পরিবারের জন্য তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দেওয়ার এটাই হবে শেষ সুযোগ। অন্যথায় তাদের ভাগ্য ইসরায়েলি পাইলট রন আরাদের মতোই হবে। ১৯৮৬ সালে লেবাননে একজন এয়ারফোর্স নেভিগেটর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আরাদকে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে আর তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এখন তাকে মৃতই মনে করা হয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে সেখানকার প্রায় এক হাজার ২০০ লোক নিহত হয়। তখন হামাস প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলি নাগরিক ছাড়াও মার্কিন, থাই, ফরাসি, ব্রিটিশ ও রুশ নাগরিক ছিলেন।

গত নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে ১০৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন জিম্মি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। বাকিদের মুক্ত করতে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই বিক্ষোভ করছেন। এই চাপসহ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে সম্মত হয়। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় এ যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাস সম্মত হলেও ইসরায়েল এখন পর্যন্ত আলোচনাতেই বসেনি। বরং এ পরিস্থিতির মধ্যেই রাফাহতে হামলা চালিয়েছে। ফলে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।