কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায় টাকা ধার নিয়ে তা ফেরত দিতে না পারায় এক গৃহবধূকে দুই মাস ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ধর্ষণের ঘটনায় অপমান সইতে না পেরে গৃহবধূ ও তার স্বামী বিষপান করে। পরে বিষপানে স্বামী বেঁচে গেলেও গৃহবধূ মৃত্যুবরণ করেন।
পরে এ ব্যাপারে তার মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের মামা আকবর আলী ৪ জনকে আসামি করে রাজিবপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করলে পুলিশ প্রধান আসামীসহ তাদের দুজনকে পার্শ্ববর্তী জামালপুরের উপজেলা দেওয়ানগঞ্জ থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো অভিযুক্ত মামলার এক নম্বর আসামি রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের হলপাড়া গ্রামের আবু সামার ছেলে জয়নাল মিয়া এবং তিন নম্বর আসামী টাঙ্গালিয়া পাড়া এলাকার শহীদ আলীর ছেলে আলম ওরফে আলম কসাই। বাকি দুজন দুই নম্বর আসামি রাজিবপুর কারিগর পাড়া গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে শুক্কুর আলী ও চার নম্বর আসামী টাঙালিয়া পাড়া গ্রামের আবু সামার ছেলে সোলায়মান আলীকে এখনও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
রাজিবপুর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, বুধবারের ঘটনার পরে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের দুিট টিম তাদের দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে। এরপর অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতেই পার্শ্ববর্তী উপজেলা দেওয়ানগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাতেই মামলা হলে পুলিশ রাতভর অভিযান করে ঘটনার দুইজন মুলহোতা এজাহার নামীয় আসামীকে আটক করে। তবে এখন তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করতে পুলিশের যা যা করনীয় তা করবে। বাকি আসামীরাও দ্রুত ধরা পড়বে এবং সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৪ মে) ওই দম্পতি বিষপান করে আত্মহত্যা করতে গেলে দুজনেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাঁচ দিন ধরে বিষক্রিয়ার সঙ্গে লড়াই করে গত বুধবার (২৯ মে) দুপুরে স্বামী বেঁচে গেলেও গৃহবধূর মৃত্যু ঘটে। ওই দম্পতির তিন বছরের একটি শিশু রয়েছে।