টুইটার-ফেসবুকের পর এবার অ্যামাজনে গণছাঁটাই

টুইটারের ফেসবুকের পর এবার অ্যামাজনে গণছাঁটাই শুরু হচ্ছে । আমেরিকান এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে ১০ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাটাই করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি খরচ কমানোর জন্য আরও বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ।

অ্যামাজনের বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাটাই নিয়ে সোমবার মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

গণমাধ্যম দুইটি তাদের প্রতিবেদেনে উল্লেখ করেছে, অ্যামাজন থেকে চলতি সপ্তাহেই ১০ হাজারেও বেশি কর্মী ছাটাই করা হবে।

বিশ্বজুড়ে অ্যামজনে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ কাজ করেন। কর্মী ছাটাইয়ের খবর সত্যি হলে এটাই হবে প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণছাঁটাই।

নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অ্যামাজনে হিউম্যান রিসোর্স, ডিভাইস ইউনিট এবং রিটেল ডিভিশন থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হবে। ডিভাইস ইউনিট তৈরি করেছিল অ্যামাজনের সবচেয়ে আলোচিত ডিভাইস অ্যালেক্সা। বাজারে যা বিশেষ সাফলতা পায়নি।

গত কয়েক মাসে অ্যামাজনের কিছু অলাভজনক বিভাগের কর্মীদের ছাঁটাইয়েল ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মধ্যেই অন্য বিভাগে সুযোগ খোঁজার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কিছু কর্মীকে।

করোনা মহামারির সময়ে অ্যামাজিনের মতো অনলাইন কেনাবেচার প্ল্যাটফর্মগুলোর দিকে ঝুঁকেছিলেন সাধারণ মানুষ। ফলে তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ফের অতিমারি-পূর্ববর্তী পর্যায়ে ফিরে গিয়েছে বিশ্ব। অ্যামাজনে কেনাকাটার হার তাই তুলনামূলক কমেছে।

গত সপ্তাহেই গণছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে টুইটার। ইলন মাস্কের মালিকানায় সংস্থার প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মীর চাকরি গিয়েছে নিমেষে। এর পর বড় সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা থেকেও। একই পথে হাঁটতে চলেছে অ্যামাজনও।

১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অ্যামাজন এত বড় কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত এর আগে কখনো নেয়নি