ট্রাম্পের নয়া শুল্ক নীতি; বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা

মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের উপর ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৫ শতাংশ এবং চিনা পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায়, বিশ্বব্যাপী এক বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম দিনেই ব্যাপক ধস নামল ভারতীয় টাকার মূল্যে। সোমবার বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে টাকার দর ৬৭ পয়সা কমে ৮৭.২৯-এ নেমে রেকর্ড পতনে পৌঁছয়। গত শুক্রবার রুপির দর তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল, ৮৬.৬২-তে বাজার বন্ধ হয়েছিল।

আজ দিনের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে টাকা ৮৭.০০ দরে লেনদেন শুরু করলেও, তা আরও নেমে যায়।

ফোরেক্স বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশি পুঁজির ধারাবাহিক লেনদেন ও আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণেই ভারতীয় মুদ্রার উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি হয়েছে।

বিশেষ করে অপরিশোধিত তেল আমদানিকারকদের যে বিপুল চাহিদা ডলারের, সেটিও টাকার দর পতনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উদ্বেগের বড় কারণ ট্রাম্পের শুল্ক নীতি কার্যকর হওয়া। কারণ বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ডলারের চাহিদা বাড়ায় তা ১০৯.৫০ স্তরে পৌঁছে গেছে।

এদিকে, ডলারের শক্তি পরিমাপকারী সূচক ডলার ইনডেক্স ১.৩০% বৃদ্ধি পেয়ে ১০৯.৭৭-এ পৌঁছেছে। ইউরো, ব্রিটিশ পাউন্ড ও ইয়েনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাগুলোরও দরপতন ঘটেছে—ইউরো ১.০২২৪, পাউন্ড ১.২২৬১ এবং ইয়েন ১৫৫.৫৪-তে নেমে এসেছে।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দর ০.৭১% বেড়ে ৭৬.২১ ডলার প্রতি ব্যারেলে পৌঁছেছে।

বিশ্ববাজারের এই অস্থিরতার মধ্যেও টাকার দর কতটা স্থিতিশীল থাকে, তা নির্ভর করবে আগামী দিনে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগুলি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিস্থিতির ওপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *