ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রস্তাব: গাজার ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তর

গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের একটি বিতর্কিত প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এয়ার ফোর্স ওয়ানে মিয়ামি যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রস্তাব দেন। তার এই প্রস্তাব বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে জানিয়েছে আনাদোলু।

ট্রাম্প জানান, তিনি জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও আলোচনা করবেন। গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিশৃঙ্খল’ এবং ‘ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপ’ হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প বলেন, তিনি চান জর্ডান ও মিশর ‘প্রায় আড়াই মিলিয়ন’ গাজাবাসীর দায়িত্ব নিক।

তিনি আরও বলেন, গাজা ‘শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সংঘাতের স্থান’ এবং সেখানে ‘কিছু একটা করতেই হবে’। ট্রাম্পের মতে, গাজার ‘প্রায় সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে’ এবং ‘মানুষ মারা যাচ্ছে’। তাই কিছু আরব দেশের উচিত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিকল্প আবাসন ব্যবস্থা করা, যা অস্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।

তবে ট্রাম্পের এ প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। হামাস বলেছে, গাজাবাসী এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করবে। ইসলামিক জিহাদ ট্রাম্পের প্রস্তাবকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এটি ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধকে উৎসাহিত করছে।

বাইডেন প্রশাসনও গাজাবাসীদের স্থানান্তরের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যদিও ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে, ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দিহান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *