ট্রিপল সেঞ্চুরির পথে ব্রয়লার মুরগির দাম

পয়গাম ডেস্ক

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই হু হু করে বাড়ছে। বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দামও। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণের এ পণ্যটির দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তিনদিনের ব্যবধানে ৩০-৪০ টাকা দাম বেড়ে ব্রয়লার মুরগির দাম এখন ট্রিপল সেঞ্চুরির পথে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অস্থিরতা চলছে মুরগির বাজারে। দুই দিন আগেও যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে, গতকাল সোমবার তা বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে চোখে পুরোপুরি অন্ধকার দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পর্যায়ের লোকজন।

গতকাল একদিনে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শনিবার বেড়েছিল কেজিতে ৭-৮ টাকা। অর্থাৎ তিন দিনে কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে গরিবের খাবার বলে পরিচিতি এই পণ্যটির। গত শুক্রবার প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে।

সরকারের পক্ষ থেকে বারবার মুরগির দাম কমাতে বলা হলেও বাজারে দেখা যাচ্ছে তার উল্টো গতি। কারণ জানতে চাইলে সিন্ডিকেটকে দায়ী করে সাধারণ বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় বাজারে এমনিতেই মুরগির সংকট। তার ওপর দুই দিন ধরে বৃষ্টি হতে থাকায় সরবরাহ আরও কমেছে। ফলে দাম বেড়ে গেছে।

অন্যদিকে ক্রেতারা মুরগির এই দামে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সামনে রমজান। অন্য মাছ-গোশতের দাম নাগালের অনেক বাইরে। তাই সবাই ভরসা করে থাকে এই ব্রয়লার মুরগির ওপর। এবার সেটার ওপরই চোখ পড়েছে সিন্ডিকেটের। তাই দাম এভাবে বাড়ছে। নইলে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুতেই দুইশ’র বেশি হতো না। মাস-দেড় মাস আগেও তো আমরা ১৫০-১৬০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার কিনেছি। এই এক মাসের ভেতর এমন কী হয়ে গেল যে, দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর আগে কখনোই ব্রয়লার মুরগি এত দামে বিক্রি হয়নি। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সোনালি ও ককসহ দেশি মুরগির দামও। সেগুনবাগিচা বাজারের একজন মুরগি বিক্রেতা জানান, ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধির ধাক্কায় এক মাসের ব্যবধানে বাজারে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকার মতো।

এদিকে পোলট্রি খামারিরা জানান, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক খামার বন্ধ হওয়ায় বাজারে ডিম ও মুরগির এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে দাম আসলেই কিছুটা বেড়েছে। তবে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা জনগণের পকেট কাটছেন নির্বিচারে।