তুরস্ক তাদের বায়রাখতার আকিনচি ড্রোন থেকে সফলভাবে সুপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে। কৃষ্ণ সাগরে ওই পরীক্ষা চালানো হয়। ওই সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটিও নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মাণ করেছে তুরস্ক।
আনাদোলু এজেন্সি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থা বায়কার দ্বারা নির্মিত দেশটির আধুনিক ড্রোন বায়রাখতার আকিনচি থেকে সফলভাবে একটি আইএইচএ-২৩০ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। শুক্রবার এ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।’তুরস্কের এ আধুনিক সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৪০ কিলোমিটার (৯০ মাইল) পর্যন্ত দূরত্বে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম।’
বায়কার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তুরস্কের বৃহৎ প্রতিরক্ষা কোম্পানি রোকেতসান এ ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্নয়ন করেছে। এটা তুরস্কের তৈরি প্রথম আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমেই ওই মিসাইল টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে।’
কৃষ্ণ সাগরে তুরস্কের সিনোপ ফায়ারিং রেঞ্জে বায়রাখতার আকিনচি ড্রোন দ্বারা নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি ১৪০ কিলোমিটার দূর বিন্দুতে আঘাত করেছে।
এদিকে তুরস্কের প্রতিরক্ষা সংস্থা হ্যাভেলসান ডিজিটাল সৈন্যদের নিয়ে কাজ করছে। তাদের পরিকল্পনা অনুসারে, তুরস্কে নির্মিত ড্রোন, স্থল ও সমুদ্রভিত্তিক মনুষ্যবিহীন যানের সমন্বয়ে যৌথ সামরিক অভিযান চালানো হবে। একটি স্বায়ত্তশাসিত রোবোটিক সিস্টেমের মাধ্যমে এ সামরিক অভিযান পরিচালিত হবে। দেশটির ডিজিটাল সৈন্যরা এই বছরই মাঠে নামবে।
আনাদোলুর সঙ্গে কথা বলার সময় হ্যাভেলসানের মহাব্যবস্থাপক মেহমেত আকিফ নাকার বলেন, ডিজিটাল সেনাদের পরিকল্পনার বিষয়টি এ বছরই উদাহরণসহ প্রকাশ করা হবে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি