ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্র জমিয়তের বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা সম্পন্ন

পয়গাম ডেস্ক :

আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মরণে দোয়ার মাহফিল ও বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা  ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ শুক্রবার বিকাল ২:৩০  ঘটিকায় শাখার সভাপতি মারুফ বিল্লাহ্ আমিনীর সভাপতিত্বে  ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পূর্ব এর উদ্যোগে  বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ -এর সিনিয়র সহ সভাপতি মুফতি মাহবুবুল আলম। তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে কুরআন হাদীসের দলিল দিয়ে আলোচনা করেন ও স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে আমাদের করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দশনা দিয়ে বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে এবং আমাদের নিজেদেরকে আমাদের পূর্বসূরীদের ইতিহাস জেনে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে এবং দেশ রক্ষার আন্দোলনে উনারা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আমাদেরকেও সেভাবে দেশের প্রত্যেকটি কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা  মহানগর দক্ষিণের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মুফতি নুরুল আলম ইসহাকী বলেন,  আজ ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির এক শৌর্যবীর্য অবিস্মরণীয়  দিন।  ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ,যা ১৯৭১ এর ২৫ ই মার্চ এর রাতে গণ হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে আসে। ২৬ ই মার্চ  স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় টানা ৯ মাসের এক রক্তাক্ত যুদ্ধ।  এভাবেই হাজারো  মা বোনের ইজ্জত  ও লাখো ভাইয়ের রক্ত দিয়ে লাভ করে এক স্বাধীন রাষ্ট্র ফিরে পায় বাক স্বাধীনতা। আজকের এই দিনেই বিজয়ের ৫১ তম বার্ষিকী পূর্তি উৎসব  পালন করছে আজ।

তিনি আরও বলেন: আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ঠিকই কিন্তু সেই স্বাধীন রাষ্ট্রের উপর ফের চিল শকুনের নজর পরেছে । তারা চায় আবারো আমাদের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে এ এসময় তিনি  উপস্থিত সকল কর্মীদের প্রতি দেশ প্রেম ও দেশের সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং নিজেদের দেশের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলার আহ্বান জানান ।

এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি এখলাছুর রহমান ৫১ তম বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশবাসী এখন পর্যন্ত প্রকৃত অর্থে বিজয় অর্জন করতে পারেনি। এদেশের স্বাধীনতা জিম্মি হয়ে আছে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষীদের হাতে। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা সকলেই জানে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে সকলেই অবগত কিন্তু আমাদের জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট কি ছিল মুক্তিযুদ্ধ কিভাবে হয়েছিল কিভাবে পরিচালিত হয় এবং তৎকালীন পটভূমি কি ছিল

তিনি আরো বলেন আজকের মুক্তিযুদ্ধের সফলতার ক্রেডিট কামী প্রগতিশীল ব্যক্তিরা আলেম সমাজের অবদান ও ভূমিকা কি ছিল তা অস্বীকার করে। যা একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ও একজন বাংলাদেশের সু নাগরিক হিসেবে আমাদের জানা অতীব প্রয়োজন। বর্তমান আলিম সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে আস্তাকুঁড়ে  নিক্ষিপ্ত করা হয়েছে অথচ বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপমহাদেশের প্রত্যেকটা সংগ্রামে এই আলেম সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রয়েছে…!

তিনি আরো বলেন যারা আমাদের আলেমদেরকে মুক্তিযুদ্ধের অবদানের ক্ষেত্রে ইতিহাসে উল্লেখ করতে চায়না , যারা আমাদের রাজনীতি ও আমাদের চিন্তাকে তুচ্ছ মনে করে আমাদের কাছে তাদের দৃষ্টান্ত একজন ( তিফলে মক্তব) মক্তবের কচি শিশুর মত।

আলোচনার শেষ প্রান্তে তিনি ছাত্র সমাজকে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জাতির সামনে উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেন এবং ছাত্র সমাজকে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করেন..

উক্ত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন  ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পূর্ব এর সভাপতি জনাব মারুফ বিল্লাহ্ আমিনী সভাপতির বক্তব্যে তিনি বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে উপস্থিত কর্মীদেরকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক কথা বলেন এবং  তিনি ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্র জমিয়তের পক্ষ থেকে সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পূর্ব এর সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাদী হাসান, ভাটারা থানা কমিটির আহবায়ক নীরব হাসান।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের পূর্বের অর্থ সম্পাদক আবুল হাসানাত, প্রচার সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, কওমি মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল, কলেজ ভার্সিটি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ সিদ্দিকী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ঢাকুভী , মেরাদিয়া ক্যাম্পাস শাখার সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাফিল আলম প্রমুখ।