তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে যদি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি দেখা করেন, তাহলে ‘পাল্টা জবাব’ দেওয়া হবে। বুধবার (২৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রকে এমন কড়া ভাষায় হুমকি দিয়েছে চীন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের বুধবার ১০ দিনের সফরে মধ্য আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।-রয়টার্স
এ সফরে তিনি গুয়েতেমালা এবং বেলিজ যাবেন। দেশ দু’টিতে যাওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রানজিট নেবেন তিনি। আর ট্রানজিট নেওয়ার সময় প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ম্যাকার্থির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বৈঠক করতে পারেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো। চীন বলেছে, এমন কিছু হলে এটি ‘উস্কানি’ দেওয়ার সামিল হবে।
তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে চীন। যদিও তাইওয়ান কখনো দেশটির শাসনাধীন ছিল না। কিন্তু চীন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তারা যেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা না করেন। তারা বলেছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের বিষয়টি দেশটির স্বাধীনতাকে সমর্থন দেওয়ার সামিল হবে।
২০২২ সালের আগস্ট মাসে প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যান। এ বিষয়টি নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং। পেলোসি চলে যাওয়ার পরপরই চীন তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালায়। প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সম্ভাব্য বৈঠকের ব্যাপারে চীনের তাইওয়ান বিষয়ক অফিসের মুখপাত্র ঝু ফেংগিলান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে সাইয়ের ট্রানজিট শুধুমাত্র বিমানবন্দরে বা হোটেলে অপেক্ষা করা না। এর বদলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন, এটি হবে আরেকটি উস্কানি যেটি এক-চীন নীতিকে চরমভাবে লঙ্ঘন করবে, চীনের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করবে এবং তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে।’ ‘আমরা কঠোরভাবে এর বিরোধীতা করছি এবং অবশ্যই পাল্টা জবাব দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ যোগ করেন এ কর্মকর্তা।