তীব্র যানজটে দুর্ভোগে নগরবাসী


রাজধানীর নর্দ্দা ফুটওভার ব্রিজের নিচে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটি বাস। এগুলো যাত্রীর অপেক্ষায় রয়েছে।

সড়কের অনেকটা জায়গা দখল করে বাসগুলো সড়কের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। যদিও বাসে তখনও যাত্রী ভরা ছিল, তারপরও যাত্রী তুলতে সময়ক্ষেপণ করছেন বাসচালক ও হেলপার।

সড়কের মধ্যে বাসগুলো দাঁড়ানোর কারণে পেছনে সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের জটলা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী ও পথচারী।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর সড়কগুলোতে কারণে অকারণে যানজট সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। আর যানজট একবার লাগার পর তা স্বাভাবিক হতে লাগছে ঢের সময়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা।

রমজানের দ্বিতীয় কর্মদিবসে রাজধানী জুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। সকাল থেকে যানবাহনের চাপ কম থাকতে দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন ও যাত্রী-পথচারীদের চলাচলে বাড়তে শুরু করেছে। ফলে বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে

এদিকে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা সড়কে যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও ট্রাফিক পুলিশের সামনেও চালকেরা অগোছালোভাবে গাড়ি দাঁড় করাচ্ছেন।

রিপন সরকার নামে এক যাত্রী বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ ভাইয়েরা সড়কে বাস, ট্রাক ও পিকআপভ্যান থামিয়ে কাগজপত্র দেখছেন, সড়কে ওই যানবাহন থামার কারণে পেছনে লেগে যাচ্ছে যানজট।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরা, হাউজবিল্ডিং, বিমানবন্দর হয়ে খিলক্ষেত, বিশ্বরোড হয়ে রেডিসনের সামনে দিয়ে বনানী মহাখালী পর্যন্ত সড়কে, এদিকে মহাখালী থেকে সাতরাস্তা, মগবাজার হয়ে রমনা, মৎসভবন এবং মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার হয়ে বাংলামোটর-শাহবাগ হয়ে মৎসভবন প্রেসক্লাব পর্যন্ত যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ দেখা গেছে। অপরদিকে, খিলক্ষেত থেকে কুড়িল হয়ে নতুন বাজার, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ হয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, সড়কে তীব্র যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা। অনেকেই স্থবির হয়ে থাকা যানবাহন থেকে নেমে পায়ে হেঁটে রওয়ানা করেছেন কর্মস্থলে।