তুরস্কে ভূমিকম্পের ঘটনায় উদ্ধারকাজে যাচ্ছে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল। এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন করে সদস্য থাকবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিমানে (সি-১৩০) দলটি কাল বুধবার তুরস্ক যাবে। প্রাথমিকভাবে ১০ জনের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই দলে কারা থাকবেন, কী কী সরঞ্জাম, উপকরণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হবে, তা ঠিক করা নিয়ে কাজ চলছে।
গতকাল সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পের কারণে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। দুই দেশে মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮০০। তবে সংখ্যাটি আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চলতি শতকে এটাই তুরস্কে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটিতে এমন ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে তুরস্কের ইজমিত ও ইস্তাম্বুলের পূর্ব মারমারা উপকূলীয় অঞ্চলে সেই ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়।
গতকাল ভূমিকম্পের পরপরই বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা তুরস্ক ও সিরিয়ায় সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের কাছে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।
সূত্র বলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকেই তুরস্ককে উদ্ধারকারী দল পাঠানোর বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তুরস্ক দ্রুত এ বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, এর আগের ভূমিকম্পে তুরস্ককে উদ্ধারকারী দল পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তখন তারা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিল, উদ্ধারকারী দল পাঠানো দরকার নেই। এবার তারা প্রস্তাব পাওয়ার পরই আগ্রহ দেখায়।
জানতে চাইলে ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান আজ দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে উদ্ধারকারী দলের তাঁর দেশে যাওয়ার কথা রয়েছে।