গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত কয়েক হাজার ক্ষুধার্ত-নিরীহ মানুষের ভিড়ে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে ঘটনাস্থলে ১০৪ জন নিহত এবং ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গাজা সিটির কাছে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ইসরায়েল। এ হত্যাকাণ্ডকে ‘ভয়ানক’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গাজা সিটির কাছে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল। মানবিক ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা কয়েক হাজার মানুষের ভিড়ের মধ্যে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের নির্বিচার গুলিতে অন্তত ১০৪ জন নিহত হয়েছে । আহত হয়েছে আরও ৭৬০ জনের বেশি। নিহতদের বেশির ভাগই শিশু। কুদরা বলেন, এটি প্রকাশ্য গণহত্যা। ইসরায়েলি বাহিনী ইচ্ছা করেই গুলি চালিয়েছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গুলি চালিয়ে হত্যার পর লাশের ওপর দিয়ে ত্রাণের ট্রাক চালিয়ে দেয় সেনারা।
এ ব্যাপারে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ত্রাণ নিতে আসা লোকজন সেনা সদস্যদের দিকে তেড়ে এলে তারা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র আভি হাইমান বলেছেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। তার দাবি, ত্রাণের ট্রাক জনতার ভিড়ের মধ্যে ওঠে যাওয়ায় তারা পিষ্ঠ হয়ে মারা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা ও সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, মানবিক সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা ১০০ জনের মৃত্যু গুরুতর ঘটনা। আমরা নিরীহ মানুষের প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করছি।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র বলেন, গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে স্বীকার করছি, সেখানে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা তাদের পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার প্রানান্ত চেষ্টা করছে। একটি সম্ভাব্য অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
গাজায় গত পাঁচ মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।