দিল্লি-বেইজিংকে কাছে আনতে ঢাকার সম্ভাব্য ভূমিকা কী?

পয়গাম ডেস্ক :

আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২

ভারত ও চীন—দুই দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বাংলাদেশের। এমন প্রেক্ষাপটে ওই দুই দেশকে আরো কাছাকাছি আনতে বাংলাদেশ কী ভূমিকা রাখতে পারে? গতকাল রবিবার ঢাকায় কসমস সংলাপে একজন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকের কাছে এই প্রশ্ন করেছিলেন বিদায়ি চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

প্রশ্নের জবাবে সংলাপের মূল বক্তা সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসির সাবেক ডিন কিশোর মাহবুবানী বলেন, ‘আমি অবশ্যই বলব, এটি একটি খুব চ্যালেঞ্জিং প্রশ্ন। একদিকে সত্যি বলতে, এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক হবে।

ভারত বাংলাদেশের একটি বড় প্রতিবেশী এবং বাংলাদেশের একটি বড় প্রতিবেশীর (ভারতের) সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকতে হবে। আবার বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং মাঝপথে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করলে সম্ভাব্য বিপদ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে এটি বাংলাদেশের জন্য বিশাল সুযোগ হতে পারে। আমি সুযোগই বলব।

কিশোর মাহবুবানী এ ক্ষেত্রে প্রায় ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি বালিতে জি২০ সম্মেলন ভালো হতো না যদি জোকো উইদোদো যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে বৈঠকে বসতে চাপ না দিতেন। উইদোদো চুপচাপ ওই কাজটি করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতার মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক পটভূমি জটিল হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার তীব্রতা আগামী ১০ বছরে অনেক বাড়বে। এটি বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করবে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলো সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। 

আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, আপনি যাই করেন না কেন, আপনার জীবন এই ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার দ্বারা প্রভাবিত বা ব্যাহত হবে। আমি আপনাকে এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারি। ’

আসিয়ানের মতো কার্যকর কোনো আঞ্চলিক সংস্থার অনুপস্থিতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন। এখানে সার্ক অকার্যকর। ভারত কিভাবে যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করছে, তার প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়বে।