পাবনায় একের পর এক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে। কঙ্কাল চুরির জন্য দুর্বৃত্তরা সড়ক মহাসড়ক সংলগ্ন কবরস্থানগুলোকে বেছে নিচ্ছে। একের পর এক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ আজও পর্যন্ত একটিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ফলে অনেকটাই যেনো নির্বিঘ্নে একের পর এক কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে।
সংঘবদ্ধ চোরের দল এবার জেলার সাঁথিয়া উপজেলার রাজাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ৫টি কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এই কঙ্কাল চুরি হয়েছে জানিয়ে স্থানীয়রা জানান, আজ সোমবার দুপুরে কঙ্কাল চুরির বিষয়টি তারা জানতে পারেন।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চিনাখড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ৫টি কঙ্কাল এবং চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল ভোররাতে বেড়া উপজেলার খাস আমিনপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ১৫টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে পাশ দিয়ে শনিবার সকালে কৃষকরা জমিতে কাজে যাবার সময় কয়েকটি কবরের ওপরে বাঁশের চাটাই সরানো ও মাটি খোঁড়া দেখতে পান। পরে তারা কবরস্থানের ভেতরে গিয়ে ৫টি কবর খোঁড়া ও কবরগুলোর ভেতরে কঙ্কাল না দেখতে পেয়ে গ্রামের মানুষদের জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ও গ্রামের মানুষ কবরস্থানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান।
গ্রামবাসীরা জানান, গ্রামের হাসেম আলীর মা, শাহীন খাঁ’র দাদী, আব্দুল হাই এর ভাই, শহীদ আলী শেখ এর ছেলে, দুলাল খাঁ’র মায়ের কবর ভাঙা ও সেখান থেকে কঙ্কাল গায়েব করা হয়েছে।
কঙ্কাল চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান চুরি যাওয়া কঙ্কালের আত্মীয় স্বজনরা।
গ্রামের মানুষদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ রাজাপুর গোরস্থান পরিদর্শন করে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, পুলিশ বিষয়টি অবহিত হয়েছে। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।