দুই মাসের লড়াইয়ে পঙ্গু হয়েছে ৩,০০০ ইসরায়েলি সেনা!

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে নির্মূল করার টার্গেট নিয়ে গত দুই মাস ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময়ে ৪২০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছে কয়েক হাজার ইসরায়েলি সেনা। যাদের মধ্যে অনেককে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের জন্য অক্ষম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও সুবিধেজনক নয়। খবর মিডলইস্টমনিটর।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইয়েদিয়োত আহরোনোতের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ৭ অক্টোবর শুরু হয় গাজা অভিযান। পরবর্তী সময়ে ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয় স্থল অভিযান। নির্বিচার হামলার মাধ্যমে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলেও হামাসের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে তারা তুমুল প্রতিরোধের মুখে পড়ে।

সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দুই মাসের অভিযানে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছে। এদের মধ্য থেকে প্রায় দুই হাজার সেনা সদস্যকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে ‘যুদ্ধের জন্য অক্ষম’ বলে ঘোষণা করেছে। আবার এ পাঁচ হাজার আহত সেনা সদস্যদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ তিন হাজার সেনার হাত-পায়ে গুরুতর জখম হয়েছেন। বাধ্য হয়ে অনেকের হাত-পা কেটে ফেলতে হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিহ্যাবিলেশন বিভাগের প্রধান লিমোর লুরিয়া বলেছেন, আগে কখনো আমাদের এ ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। এখানে যারা আহত হয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে ৫৮ শতাংশের হাত ও পা গুরুতর জখম হয়েছে। এছাড়া আহতদের মধ্যে ১২ শতাংশের প্লীহা, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার ৭ শতাংশ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। আগামী দিনে এ সংখ্যা আরও বাড়বে।

এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে দাবি করে, চলমান সংঘাতে হামাসের প্রায় ৫ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছে। একই সঙ্গে তারা জানায়, ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার কথা বললেও দুই মাসের যুদ্ধে লক্ষ্যের ধারে-কাছেও পৌঁছতে পারেনি ইসরায়েলি সেনারা।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের ৭০ শতাংশই নারী-শিশু।