জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ ফরিদপুরের মধুখালিতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার পর সন্দেহবশত দুই আপন সহোদরকে নির্মম ভাবে হত্যা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন,অনতিবিলম্বে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। জমিয়ত নেতারা এখনো পর্যন্ত হত্যাকারীদেরকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,দেশের কোথাও মন্দিরে অগ্নিসংযোগ বা ভাংচুর ইত্যাদির সাথে মুসলমানদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারেনা,শান্তির ধর্ম ইসলামে এ সব কর্মকাণ্ডের কোন স্থানও নেই, এই বাস্তবতার পরেও কেন বারংবার এ ঘটনাগুলো ঘটছে? কারা এ সবের নেপথ্যে কাজ করছে? এ রহস্য দ্রুত উদঘাটিত না হলে দেশের অপুরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। চট্টগ্রামে কিছু দিন পূর্বে উগ্র হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিলেও তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মূলত পরিকল্পিত ভাবে একের পর এক এ রকম অঘটন ঘটিয়ে এক দিকে উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার দুঃসাহস দেখানো হচ্ছে,আরেক দিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য ভূলন্ঠিত করা হচ্ছে।
তারা আরো বলেন,নিজেরা নিজেরা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে মুসলামনদের উপর দায় চাপানোর মধ্য দিয়ে হিন্দু-মুসলিম সংঘাত তৈরির অপচেষ্টা করা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সরকার ও প্রশাসনেরই দায়িত্ব। এ দায়িত্বে অবহেলা করার ফলে পরিস্থিতি অন্য দিকে গেলে তার দায়ভারও সরকারকে বহন করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন,নিরীহ মুসলমানদরকে পিটিয়ে হত্যা ও আহত করার মাধ্যমে পরিস্থিতিকে অশান্ত করে এ দেশে কখনোই ইনশা-আল্লাহ হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। আজ গণমাধ্যমে প্রেরীত এক যৌথ বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা শায়খ যিয়া উদ্দীন,সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক,মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী,মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার,মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব,মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া এ সব কথা বলেন।