“দেওবন্দ” নানা রঙ্গের পুস্পের অপরূপ তোড়া

পয়গাম ডেস্ক :

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

দেওবন্দী মতাদর্শের আলোচনা হলে প্রথমেই তিন ব্যক্তিত্বের নাম উঠে আসে। আর ইতিহাসের পাতায় এ তিন মনীষীই দেওবন্দী মতাদর্শের প্রতিকৃতি হিসেবে স্বীকৃত। ইমাম-উত-তাইফা হাজী ইমদাদুল্লাহ মোহাজের মাক্কী রহ. -কে দেওবন্দী চিন্তাদর্শের প্রধান পৃষ্ঠপোষকের মসনদে সমাসীন করা হয়। হজরত মাওলানা মুহাম্মদ কাসেম নানুতবী রহ. ও হজরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ. দেওবন্দী ধারার শিক্ষা, চিন্তাচেতনা, মতাদর্শের প্রচারক। এ তিন মনীষীকেই দেওবন্দি মতাদর্শের প্রবর্তক বলা হয়। হযরত নানুতবী রহ. ভাষ্যকার, হযরত গাঙ্গুহী রহ. হলেন একজন ফকীহ শিক্ষা-দীক্ষা, আইনশাস্ত্র, বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যক্রম ও আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক ময়দানে শায়খ-উল-হিন্দ মাওলানা মাহমুদ হাসান, মাওলানা খলিল আহমদ সাহারানপুরী, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী, মাওলানা সৈয়দ হোসাইন আহমদ মাদানী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধি, মুফতি কেফায়তুল্লাহ দেহলবী, সাইয়িদ আনোয়ার শাহ কাশ্মিরীর ন্যায় আকাবিরগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নানা রঙ্গের পুস্পের অপরূপ এ তোড়াকে দেওবন্দীয়ত নামে বিশ্ব স্মরণ করে।

কিন্তু আমাদের নতুন প্রজন্মের দুঃখজনক বিষয় হলো, তারা আকাবিরদের ভক্তি ও শ্রদ্ধার সর্বোচ্চ আসনে রাখলেও তাদের চিন্তা-চেতনা, মতাদর্শ ও শিক্ষা সম্পর্কে জানারও প্রয়োজন অনুভব করে না। উল্টো আমরা এইসব মনীষীদেরকে সমাজে আদর্শিক আইডল হিসেবে গ্রহণের পথ রুদ্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টায় ব্যস্ত থাকি। আজকের বিশ্বের কাছে দেওবন্দের প্রকৃত পরিচয় তুলে ধরা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে তাই আমরা বিভ্রান্তির বেড়াজালে আটকা পড়তে চলেছি।

[অক্টোবর ২০১৪, আইওয়ান-ই-ইকবাল, লাহোরে অনুষ্ঠিত “ফকিহ-ই-মিল্লাত মাওলানা রশীদ আহমদ গঙ্গুহী” সেমিনারে হযরত মাওলানা জাহিদুল রশিদী সাহেব মাদ্দাজিল্লুহুর বক্তৃতার অংশবিশেষ।]