দ. কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক মহড়ার আগে উত্তর কোরিয়ার হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আসন্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়ার জবাবে অভূতপূর্ব শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখানোর হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। গতকাল শুক্রবার দেওয়া এই হুমকিতে একপ্রকার যুদ্ধের প্রস্তুতির কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। খবর রয়টার্স।

আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ওই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। মহড়ায় দুই মিত্র দেশ পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবে।

উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার নিন্দা করে আসছে। দেশটি সামরিক মহড়াকে আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে অভিহিত করে থাকে।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা একটি আগ্রাসন রুখে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা মনে করি, নতুন বছরের জন্য এই মহড়ার পরিকল্পনা যুদ্ধ উসকে দেওয়ার অপতৎপরতা।‘

বিৃবতিতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন এবং সিউল যদি মহড়া চালিয়ে যায় তবে শক্তিশালী ও পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।

খবরে বলা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের অধীনে দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে। তার সরকার পিয়ংইয়ংকে আটকাতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ব্যাপক সামরিক সখ্যতা গড়ে তুলেছে।

সিউলের উত্তর কোরিয়ান স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াং মু জিন বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের আক্রমণাত্মক বক্তব্য এই মহড়ার তাৎপর্য প্রতিফলিত করে। তিনি এএফপিকে বলেন, উত্তর কোরিয়াকে ঠেকাতে মার্কিন পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার কতটা কাজে লাগানো হবে, মহড়াটি সেক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হবে।

উত্তর কোরিয়া সারাবছর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ২০২২ সাল দেশটির সবচেয়ে বেশি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও উৎক্ষেপণ করেছে দেশটি। এতে দক্ষিণ কোরিয়া ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি করে আকড়ে ধরেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যতবার মহড়া চালিয়েছে, প্রতিবারই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে জবাব দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, উত্তর কোরিয়ার বাড়াবাড়ির পেছেনে চীন-রাশিয়ার হাত আছে।