ধর্ষণের পর ৭ বছরের শিশুকে হত‍্যা, গ্রেপ্তার ২

গাজীপুরের টঙ্গী শিলমুন এলাকায় ধর্ষণের পর ৭ বছরের এক শিশু কন‍্যাকে হত‍্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে টঙ্গী নিমতলী বালুর মাঠ এলাকা থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পৃর্ব থানা পুলিশ। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।  

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বখাটে মোহাম্মদ জনি (১৫) ও তার বাবা ফজলু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।তারা টঙ্গীর শিলমুন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।

ওই শিশুর পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত ওই শিশু গত নভেম্বর মাসে টঙ্গীতে সিলমুন জুগি বাড়ি এলাকায় নিজ খালার বাসায় বেড়াতে আসে। গত রোববার সকালে খালাতো ভাই মোহাম্মদ জনি চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে ওই শিশুটিকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। কয়েক ঘন্টা পর জনি বাসায় ফিরে এলেও শিশুটি বাসায় ফেরেনি। এ ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে টঙ্গী পূর্ব থানায় শিশুটির খোঁজ চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।  

পুলিশ ওই শিশুর সন্ধ‍্যান না পেয়ে তিনদিন পর বুধবার খালাতো ভাই জনি ও তার বাবা ফজলু মিয়াকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বালি চাপা দেবার তথ্য নিশ্চিত করেন জনির বাবা। পরে তাদের দেয়া তথ্যে পুলিশ জনিকে সঙ্গে নিয়ে নিমতলী এলাকার বালুর মাঠ থেকে বালি চাপা দেয়া অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।  

মৃত ওই শিশুটির  সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার দশশিখা গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে। সে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।  

এ ব‍্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, শিশুটির সন্ধান চেয়ে সাধারণ ডায়রির পর জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে স্বীকার করেছে ছেলে জনি ও বাবা ফজলু। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।