নতুন করে সিরিয়ার তেল চুরি করছে যুক্তরাষ্ট্র

পয়গাম ডেস্ক :
আপডেট :০৬ ডিসেম্বর ২০২২,১৫:৪০

ইউরোপীয় ইউনিয়ন শনিবার সন্ধ্যায় তাদের অফিসিয়াল জার্নালে রাশিয়ার তেলের দাম ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারে প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেছে। এটি বাজার মূল্যের কমপক্ষে ৫ শতাংশ কম দামে বিক্রি হয়। ‘রাশিয়ায় উৎপন্ন বা রাশিয়া থেকে রপ্তানি করা অপরিশোধিত তেল বা পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা, ব্রোকিং পরিষেবা বা অর্থায়ন বা আর্থিক সহায়তা, ট্রেডিং, জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তর সহ ব্রোকিং বা পরিবহনের সাথে সম্পর্কিত সহায়তা তৃতীয় দেশগুলোতে (ইইউ-এর বাইরের দেশগুলি) প্রদান করা নিষিদ্ধ থাকবে,’ নথিতে বলা হয়েছে। এই নথির সংযোজনটি নির্দিষ্ট করে যে, অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার হবে। রাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম পণ্যের মূল্যসীমা ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিটি এখনও সম্মত হয়নি। অনেক ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞ নিশ্চিত যে, এ সিদ্ধান্ত কেবল তেলের বাজারকে আরও ভারসাম্যহীনতা এবং খণ্ডিত করার দিকে নিয়ে যাবে। রাশিয়ান ফেডারেশন আগেই ঘোষণা করেছে যে, তারা সেইসব দেশে জ্বালানি সংস্থান সরবরাহ করবে না, যা তাদের জন্য দাম সীমিত করবে; তারা মূল্য সীমা আরোপ করাকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে এবং শুধুমাত্র বাজারের অবস্থার উপর কাজ করতে চায়। তাস এ খবর জানায়। অপরদিকে, সিরিয়ার ভূখণ্ডে মার্কিন সেনা উপস্থিতি এবং তারা যে তেল ও গম চুরি করছে তার নিন্দা জানিয়েছে চীন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাউ লিজিয়ান বলেন, শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য মার্কিন সেনারা সম্প্রতি নতুন করে সিরিয়া থেকে তেল চুরি করেছে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে অন্তত ৫৪টি তেলবোঝাই ট্যাংকার উত্তর ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে। ঝাউ লিজিয়ান বলেন, সিরিয়ায় মার্কিন সেনা মোতায়েন অবৈধ। এসব সেনা সিরিয়া থেকে যে তেল এবং খাদ্যশস্য নিয়ে যাচ্ছে তা অবৈধ। মার্কিন সেনা সিরিয়ার ওপর যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে আছে সেটিও অবৈধ। তিনি সিরিয়া সরকারের দেয়া তথ্য উল্লেখ করে বলেন, ২০১১ সাল থেকে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মার্কিন সেনারা যে সম্পদ চুরি করেছে তার মূল্যমান ১০ হাজার কোটি ডলার। চীনা মুখপাত্র বলেন, আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে অথচ তারা নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক আইনশৃঙ্খলা মেনে চলার ব্যাপারে চ্যাম্পিয়ন দাবি করে। বাস্তবতা হচ্ছে আমেরিকা যখন আইনের কথা বলে তখন তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার এবং বলদর্পিতা অব্যাহত রাখার অজুহাত খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে। তাস, রয়টার্স।