নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রেই ধ্বংস হলো ইসরায়েলের ৫ ট্যাঙ্ক

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্য নিয়ে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে সেখানে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে অত্যাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত ইসরায়েলি বাহিনীকে। সম্প্রতি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চালানো হামলায় ধ্বংস হয়েছে ইসরায়েলি পাঁচটি ট্যাঙ্ক। খবর আল মায়াদিন।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল কাস্সাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ইসরায়েলের দুই টন ওজনের দুটি অবিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাঁচটি ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে। সম্প্রতি ইসরায়েলি বাহিনী গাজার আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তার মধ্যে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র অবিস্ফোরিত ছিল। হামাস সদস্যরা ওই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ‘জাবালিয়া আল বালাদ’ এলাকায় ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও গাড়ি বহরের চলাচলের পথে পেতে রাখে। পরে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক বহর ওই জায়গা দিয়ে যাওয়ার সময় সেগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

আল-কাস্সাম ব্রিগেড বিবৃতিতে আরও জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে ইসরায়েলের পাঁচটি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব ট্যাঙ্কে থাকা সব সেনাসদস্য নিহত হয়েছে।

আল-কাস্সাম ব্রিগেড আরও জানায়, বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। এতে বেশ কিছু ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-কাসাসিব এলাকায় এক ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি সেনাদের সামনে গিয়ে তাদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালায়। এতে চার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়।

এছাড়া গাজার মধ্যাঞ্চলের ‘হুজ্র আদ্দিক’ এলাকায় একটি টানেলের প্রবেশপথে বিস্ফোরণ ঘটানো হলে বেশ কিছু ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করতে আরও কিছু সেনা সেখানে উপস্থিত হলে তাদের লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এতে আরও কিছু ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়।