দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই চলতি বছর পাঁচ সিটি নির্বাচন শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন চিন্তা করছে ঈদুল ফিতরের পরেই তফসিল দেওয়ার।
তাছাড়া নির্বাচন কমিশন তিন ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রথমত, শুধু গাজীপুরে এক দিন ভোট করার; দ্বিতীয়ত, খুলনা-রাজশাহী এক দিনে এবং বরিশাল ও সিলেটে আরেক দিনে ভোট করা। তৃতীয়ত, চার সিটিতে এক দিনে এবং গাজীপুর অন্যদিনে ভোট করার প্রাথমিক চিন্তা করা হচ্ছে।
ইসির কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে ১১ মার্চ নির্বাচনী দিনগণনা শুরু হচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের। আর ১৩ এপ্রিল নির্বাচনী ক্ষণগণনা শুরু হবে খুলনা; ১৩ এপ্রিল রাজশাহী; ১৪ মে বরিশাল এবং ৬ মে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে।
সিটি নির্বাচন করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, যেহেতু আমাদের জাতীয় নির্বাচন আছে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে, সেজন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষের দিকে না করে প্রথম দিকে করা।
তাছাড়া তিনি আরও বলেন, জুনের আগে দু-একটা সিটি ভোট হবে। বাকিগুলো জুনের পরে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিটি ভোট শেষ করব।
সিটি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে কি না এমন প্রশ্ন করলে জবাবে কমিশনার আলমগীর বলেন, এগুলো নির্ভর করবে বাজেটের ওপরে। আমরা বাজেট চাইব। টাকা পেলে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব। সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর সিসি ক্যামেরা নির্ভর করছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সিসি ক্যামেরা ভোটের অনুষঙ্গ না। আইনে কোথাও বলা নেই সিসি ক্যামেরা রাখতে হবে।
তবে টাকার ব্যবস্থা হলে ঝুঁকিপূর্ণ আসনগুলোতে সি সি ক্যামেরা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন আলমঙ্গীর আরো বলেন যদি সম্ভব হয় এবং টাকার বাজেট পূর্ণ থাকে তাহলে ইভিএম এরও ব্যবস্থা করা হবে।