‘পঙ্গু’ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ২০ হাজারের বেশি ইসরায়েলি সেনার আবেদন

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রচুর ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের মাত্রা এতটাই গুরুতর যে, তারা পঙ্গু হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আবেদন জানিয়েছেন। আর এ সংখ্যাটি প্রায় ২০ হাজার। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সূত্রে এ খবর দিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওত আহরোনোত।

গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, যুদ্ধে সেনাদের হতাহতের বিষয়টি নিরূপণের জন্য ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে জানানো হয়েছে, গত তিন মাসের যুদ্ধে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ ইসরায়েলি সেনা ‘পঙ্গু’ হয়েছেন। গাজার মতো এলাকায় প্রায় প্রতিরোধহীন একটি ফ্রন্টে এত সেনার পঙ্গু হওয়ার বিষয়টিকে সতর্কবার্তা হিসেবে দেখছে আইডিএফ।

জানা গেছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর পুনর্বাসন বিভাগে বর্তমানে ৬০ হাজার পঙ্গু সেনা চিকিৎসা নিচ্ছে। গত বছরেই কমপক্ষে পাঁচ হাজার সেনা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। কেবল ৭ অক্টোবর থেকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ৪০০ সেনা। তবে বিভিন্ন সময় বিশেষ করে গত তিন মাসে ইসরায়েলি সেনার হতাহত হওয়ার যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন তাতে বেশ অসঙ্গতি থাকছে। আর তারা কম বেশি যে তথ্যই দিক না কেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেনার সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। প্রতিদিন অসংখ্য সেনা সদস্যকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। ইয়েদিওত আহরোনোত জানিয়েছে, এ অবস্থায় পঙ্গু হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ইসরায়েলি সেনারা কর্তৃপক্ষের কাছে যে আবেদন করছেন, তার পরিমাণ ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে।

এদিকে শারীরিকভাবে আহত হওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনারা মানসিক অবসাদেও ভুগছে। বিষয়টি উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারও সাবেক সেনা ইতজিক সাইদানের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতজিক সাইদান ২০২১ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাইরে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করা চুক্তির সবক্ষেত্রে ‘অপমান ও বঞ্চনার’ শিকার হয়েছেন তিনি।